শিরোনাম
‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘ইশারায় শিস দিয়ে’, ‘এই মন তোমাকে দিলাম’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’—ছয় দশক ধরে মানুষের মুখে মুখে ঘুরে বেড়ানো এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার আর নেই।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়ার পথে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার মৃত্যুতে শোবিজ অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এই কিংবদন্তির মৃত্যুতে দেশের গুণী নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের কিংবদন্তি গীতিকার ও স্বাধীনতা পুরস্কার পদকপ্রাপ্ত গাজী মাজহারুল আনোয়ার আজ সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়ার পথে চলে গেলেন। একে একে আমরা অভিভাবকশূন্য হচ্ছি। তিনি ছিলেন একটি ইনস্টিটিউট। চাচা, যেখানেই থাকেন, শান্তিতে থাকবেন। আপনার ঋণ কখনোই শোধ হবে না। অনেক প্রার্থনা।’
প্রসঙ্গত, ২০ হাজারের অধিক গানের গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার ১৯৬৪ সালে রেডিও পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের সূচনালগ্ন থেকে নিয়মিত গান ও নাটক রচনা করেছেন। স্বাধীনতা ও দেশপ্রেম নিয়ে অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা ও সুরকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার একাধারে একজন চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক। ১৯৬৭ সালে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গান লেখাতেও অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেন তিনি।
১৯৮২ তার প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘নান্টু ঘটক।’ ৪১টি চলচ্চিত্র পরিচলনা করেন তিনি যার অধিকাংশই ছিল দর্শকনন্দিত।
গাজী মাজহারুল আনোয়ার ২০০২ সালে একুশে পদক এবং ২০২১ সালে সংস্কৃতিতে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি স্বাধীন দেশের সর্বপ্রথম পুরস্কার ‘বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। জাপান বাংলাদেশ ডটকম অ্যাওয়ার্ড, নিগার অ্যাওয়ার্ড পাকিস্তান এবং ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ তার অর্জিত পুরস্কারের সংখ্যা ১২১টিরও অধিক।