শিরোনাম
ভারতের জি বাংলার ‘সারেগামাপা’ রিয়েলিটি শোর মাধ্যমে পরিচিতি পেয়েছেন বাংলাদেশের মাইনুল আহসান নোবেল। বিভিন্ন সময় উদ্ভট মন্তব্যের জেরে অসংখ্য মানুষের অপছন্দের পাত্র হয়ে উঠেছেন তিনি। তবে তিনি শুধু বাইরে নয়, নিজের ঘরেও খানিকটা অপছন্দের বটে! তার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগও শোনা যায়।
২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর গায়ক নোবেলকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সালসাবিল মাহমুদ। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হয়ে উঠেনি।
পারিবারিক জীবনে বনিবনা না হওয়ায় সমালোচিত গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলকে তালাক নোটিশ পাঠিয়েছেন তার স্ত্রী সালসাবিল।গত ১১ সেপ্টেম্বর নোবেলকে তালাক নোটিশ পাঠিয়েছেন তিনি। বুধবার (৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজেই।
এ প্রসঙ্গে সালসাবিল বলেন, ‘নোবেলের সঙ্গে কিছুতেই সংসার করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছি। এখন যদি সে সিগনেচার করে দেয় তাহলে ডিভোর্স হয়ে যাবে। আর সিগনেচার না করলে তিনমাস পর অটোমেটিক ডিভোর্স কার্যকর হবে।’
সালসাবিল আরও বলেন, সে মাদকাসক্ত এবং বিভিন্ন নারীতে আসক্ত। বিভিন্ন সময় আমাকে নির্যাতন করেছে নোবেল। সে একজন মানসিক রোগী। এসব কারণে ওর সাথে সংসার করা সম্ভব না। তাই ডিভোর্স লেটার (তালাক নোটিশ) পাঠিয়েছি।’
এর আগে নোবেলের নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে সালসাবিল তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, 'এমন একটি দেশে জন্মগ্রহণ করে সত্যি আমি লজ্জিত, যে দেশে নারী নির্যাতন ছেলে মানুষের পুরুষত্ব প্রমাণের মাপকাঠি। এমনকি যে দেশে একজন স্বামীর কাছে স্ত্রী নিরাপদ না। গোপনে ধারণকৃত পার্সোনাল মোমেন্টের ভিডিও দিয়ে স্ত্রীকে খুব সহজেই ব্ল্যাকমেইল করে রাখা যায় এবং তা সম্পর্কে বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইমও অবহিত।'
গত ২৫ আগস্ট নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ছবি প্রকাশ করেন নোবেল। তাতে দেখা যাচ্ছে- দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের নাফাকুম জলপ্রপাতের পাশে এক নারীর সঙ্গে বসে আছেন নোবেল। তিনি ঠিক কী করছিলেন, সেটি একেবারে স্পষ্ট না হলেও গাঁজার কলকি টানছেন বলেই মনে করতে পারেন নেটাগরিকরা।
নোবেল ছবির ক্যাপশনে লিখেছিলেন- 'গাঁজার নৌকা পাহাড়তলী যায় ও মিরাবই…।' তবে মেয়েটি কে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি এই গায়ক।
২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর মেহরুবা সালসাবিলকে ভালোবেসে বিয়ে করেন নোবেল।