শিরোনাম
বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক কেকের (কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ) মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। তার মৃত্যু অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন কলকাতার নজরুল মঞ্চে কেকের শেষ কনসার্টে তার সঙ্গে যাওয়া সঙ্গীরা। তাই মামলা করেছেন তারা।
এদিকে কেকের মৃত্যুর পর হত্যার হুমকি পাচ্ছেন কলকাতার আরেক গায়ক রূপঙ্কর বাগচী।
বলিউডের এ গায়কের মৃত্যুর জন্য রূপঙ্করকে দায়ী করা হচ্ছে।
এত সব হুমকি পেয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন রূপঙ্কর।
স্টার জলসার রিয়্যালিটি শো ‘ইস্মার্ট জোড়ি’র শুটিংয়ে যাওয়ার পথে কলকাতার টালা থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন রূপঙ্কর বাগচী ও তার স্ত্রী চৈতালী লাহিড়ী।
ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনকে চৈতালী বলেন, ‘একাধিক খুনের হুমকি এসেছে। প্রশাসনকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। তারা বলেছে, ব্যবস্থা নেবে।’
কেকের মৃত্যুতে ভারতীয়রা কেন রূপঙ্করের ওপর ক্ষেপে আছেন?
জানা গেছে, কেকের গানের সমালোচনা করেছিলেন রূপঙ্কর। ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেছিলেন— ‘কেকে কে? কেকের চেয়েও ভালো গান করেন বাংলার বহু শিল্পী। যেমন— যেমন আমি, অনুপম, সোমলতা, ইমন, রাঘব, মনোময়, উজ্জ্বয়িনী, ক্যাকটাস, রূপম তারা সবাই কেকের থেকে ভালো গাই। বম্বে নিয়ে এত উত্তেজনা কেন? কতদিন বম্বের পেছনে ঘুরবেন? সাউথ ইন্ডিয়া, পাঞ্জাব, উড়িষ্যাকে দেখুন, বাঙালি হোন প্লিজ।’ তার এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর আকস্মিক মৃত্যু ঘটে কেকের।
এর পর থেকেই রূপঙ্করের ওপর সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ ঝাড়তে থাকেন কেকের ভক্ত-অনুরাগীরা।
উল্লেখ্য, রূপঙ্কর বাগচী কলকাতার জনপ্রিয় শিল্পী। ভারতীয় বাংলা ছবিতে অনেক গান করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গুরুদাস কলেজের এক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন কেকে। সেখানে গান গাওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি হোটেলে চলে যান। পরে সেখান থেকে কলকাতা সিএমআরআই হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে— অস্বাভাবিক কোনো কারণে গায়কের মৃত্যু হয়নি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাভাবিকভাবে মারা গেছেন কেকে।
তথ্যসূত্র: আজতক বাংলা, হিন্দুস্তান টাইমস