প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরীর গুলশানের বাড়িতে আবারও অচেনা লোকজনের আনাগোনার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে অভিনেত্রীর ছোট ছেলে শাকের ওসমান চিশতী অভিযোগ করে বলছেন, তাদের বাড়িটি দখলের অপচেষ্টা করেছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে তিনি গুলশান থানায় একটি জিডিও করেছেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

জিডি সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে কবরীর গুলশান লেক পাড়ের বাসায় তার ছেলে সিসি ক্যামেরায় দেখেন, কিছু লোক তাদের বাসার গ্রাউন্ড ফ্লোরের বাতি নিভিয়ে দিয়েছে। এর ঠিক ২০ মিনিট পর অর্থাৎ ২টা ৫০ মিনিটে সিসি ক্যামেরায় তিন ব্যক্তিকে বাসার সিঁড়ি দিয়ে তিনি নামতে দেখেন। এ অবস্থায় তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশ ডাকেন। পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে অচেনারা মোটরসাইকেলে সেখান থেকে চলে যায় বলেও জিডিতে জানান তিনি।

এ বিষয়ে শাকের ওসমান চিশতী গণমাধ্যমকে জানান, তার মা বেঁচে থাকা অবস্থায় এই বাড়ি নিয়ে একটি চক্র নানান ষড়যন্ত্র করেছিল। মাকে লাঞ্ছিত ও হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। ওরা ভেবেছে, মা এখন আর নেই। এখন সহজে বাড়িটি দখল করতে পারবে! দেশে তো আইন-আদালত সব আছে।

ঘটনাস্থলে যাওয়া গুলশান থানার উপপরিদর্শক আজিজুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, 'কবরী ম্যাডামের ছেলের অভিযোগ পেয়ে আমরা তাদের গুলশান লেক রোডের বাড়িতে যাই। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাই। সহিদুল ও সিকিউরিটি গার্ড যে লাইট নিভিয়েছিলেন, তার প্রমাণও তাৎক্ষণিকভাবে পেয়েছি। আমরা আরও তদন্ত করছি।

উল্লেখ্য, গুলশানের সেই বাড়ির জমির মালিক প্রয়াত অভিনেত্রী কবরী। তিনি একটি ডেভেলপার কোম্পানিকে দিয়ে পাঁচতলা এই বাড়িটি নির্মাণ করান। এর আগে তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল গুলশান থানায় একটি জিডি করেছিলেন তিনি। ওই জিডিতে বাড়িটি নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে এবং আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন কবরী। সে সময় তিনি একটি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, তার বাড়ির দুটি ফ্ল্যাটের মালিকরা সার্ভিস চার্জ দিচ্ছেন না। তারা বাড়িটি দখলের পাঁয়তারা করছিলেন।