শিরোনাম
ভারতজুড়ে এখন দক্ষিণি ছবির দাপট। ‘আরআরআর’, ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’, ‘কেজিএফ–টু’—এসব প্যান ইন্ডিয়া সিনেমা বক্স অফিসে তুমুল ঝড় তুলেছে। দক্ষিণের এই দাপটে বলিউড তারকাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে বেজায় খুশি বলিউড নায়িকা ইয়ামি গৌতম।
দক্ষিণি ছবির প্রভাব উত্তর ভারতে হিন্দিবলয় রাজ্যগুলোতে দারুণভাবে বাড়ছে। এ সম্পর্কে ইয়ামি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘প্যান ইন্ডিয়া ছবির এই দুর্দান্ত সফলতায় আমি খুশি। আসলে অন্য ভাষার গল্প এখন উত্তর ভারতে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। দক্ষিণের এই সফলতাকে এখন কেউ প্রতিযোগিতা হিসেবে নিচ্ছে না।’
দক্ষিণি ছবির এই সফলতার কারণ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘প্যান ইন্ডিয়া ছবির এই সফলতার এক কারণ হলো পরিচালকেরা খোলা মনে কাজ করতে পারেন এখানে। তাঁরা তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি কোনো বাধা ছাড়াই পর্দাতে মেলে ধরতে পারেন। আর হিন্দি চলচ্চিত্রজগতে ঠিক তার উল্টোটা হয়। পরিচালকেরা এখনো খোলা মনে কাজ করতে পারেন না এখানে। তাঁরা যা চান, তা পর্দাতে নিজের মতো করে মেলে ধরতে পারেন না।’
ইয়ামি বলেন, ‘প্রযোজকেরা এখনো শুধু বড় তারকাদের পর্দায় আনতে বেশি আগ্রহী। তাঁরা গল্পভিত্তিক ছবিকে খুব একটা গুরুত্ব দেন না। আর এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো আমার স্বামী আদিত্য (ধর)। উরি ছবি পরিচালনার তিন বছর পার করে ফেলেছে সে। এখনো আদিত্য তার সবচেয়ে পছন্দের এক প্রকল্প নিয়ে অপেক্ষা করছে। প্রযোজকদের কাছে সে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করে যাচ্ছে। মাত্র দু-তিনজন প্রযোজক আছেন, যাঁরা তার দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে পেরেছেন। আর কাজ করতে আগ্রহী হয়েছেন।’
এই বলিউড নায়িকার কথায়, ‘আমার মনে হয় পরিচালকেরা যাতে তাঁদের চিন্তাভাবনা অবাধভাবে মেলে ধরতে পারেন, তার জন্য তাঁদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। গল্প আর চিত্রনাট্যের প্রতি আমাদের বেশি জোর দিতে হবে। বাহুবলী, পুষ্পা, কেজিএফ, আরআরআর—এই ছবিগুলো প্রমাণ করে প্রযোজকেরা তাঁদের পরিচালক আর গল্পের ওপর আস্থা রেখেছিলেন। আর এসব ছবিতে যে অভিনেতারা আছেন, তাঁরা অনেক বড় তারকা, বিশেষ করে দক্ষিণি ছবির জগতে। আর তাঁদের বিপুলসংখ্যক প্যান ইন্ডিয়া দর্শক আছেন। আমার মনে হয়, তাঁদের আটকানো মুশকিল।’
ইয়ামিকে শেষ পর্দায় দেখা গেছে দশবি ছবিতে। নেটফ্লিক্সে এই ছবি মুক্তি পেয়েছিল। ইয়ামি ছাড়া এই ছবিতে আছেন অভিষেক বচ্চন, নিমরত কৌর।