শিরোনাম
জনপ্রিয় মডেল ও উপস্থাপক মারিয়া কিসপট্টা। আজ (৩০ সেপ্টেম্বর) তার জন্মদিন। জন্মদিন উপলক্ষ্যে তিনি তার অনুভূতি, ইন্ড্রাসটিতে আসার গল্প ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন, ফানামনিউজের সঙ্গে।
শুভ জন্মদিন। এবারের জন্মদিন কিভাবে উদযাপন করছেন?
ধন্যবাদ। এবারের জন্মদিন আসলে কাজের মধ্য দিয়েই উদযাপন করছি। আপনি জানেন, পেনডামিকের কারণে প্রায় দুবছর কাজ বন্ধ ছিলো, কাজ করতে পারিনি। পেনডামিকের পরে যেহেতু কাজ শুরু হয়েছে তাই কাজে ফিরেছি। আজকেও ঢাকার বাইরে আছি একটি শুটিংয়ের কাজে। আর এভাবেই কাজের মধ্যদিয়ে, কাজের ইউনিটের সাথেই জন্মদিনের সময়টা পার করছি। বুধবার রাতের থেকেই জন্মদিনের অনেক উইশ পেয়েছি, শুভেচ্ছো পেয়েছি এবং এখনো পাচ্ছি। সবকিছু মিলিয়ে কাজের ব্যস্ততার মধ্যেই জন্মদিনের সময়টা কাটছে আনন্দের সাথেই।
ইন্ড্রাস্ট্রিতে যেভাবে আসা...
প্রায় বিশবছর আগের কথা। যখন আমি দেশে থাকতাম না। বিদেশে পড়াশুনা করতাম। ২000 সালে যখন ছুটিতে দেশে আসলাম তখন জাদু মিউজিক প্রডাকশনের কর্ণধার ক্যাপটেন শওকতের চোখে পড়ি। তাঁর বাসায় যখন দাওয়াতে গেলাম তখন তিনি আমায় বললেন, তুমি দেখতে অনেক সুন্দর। তুমি কেন মডেলিং করছো না? তোমাকে দিয়ে মডেলিং করাবো। তিনিই আমাকে পরেরদিন শুটিংয়ে দাঁড় করিয়ে দিলেন। শুটিংটি ছিলো, নগরবাউল জেমসের একটি মিউজিক ভিডিও। এর মাধ্যমেই আমার সূচনা হয়। এরপরে এলআরবি এবং বাপ্পাদার গানে কাজ করি। এভাবে কয়েকটি মিউজিক ভিডিও শুট করার পর আমাকে চ্যানেল আইয়ের একটি অনুষ্ঠান হোস্ট করার জন্য ডাকা হয়। আমার র্যাম্পে প্রথম পদার্পন হয় আমাদের লিজেন্ডারে মডেল নোবেলের সঙ্গে। তার সাথেই র্যাম্পে রানওয়ে মডেল হিসেবে পা রেখেছি। এরপরে আর আমাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। আমি আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করে এসেছি, আন্তর্জাতিক ফ্যাশন টিভিতে চার বছর কাজ করেছি। আন্তর্জাতিক বড় বড় ব্রান্ডের সাথেও আমি কাজ করেছি।
এতোবড় প্ল্যাটফর্ম থাকা সত্বেও কেন দেশে ফিরে এলেন?
সম্ভাবনাময় সবাই যদি দেশ ছেড়ে চলে যায় তাহলে দেশকে কারা সামনে এগিয়ে নেবে? কারা প্রেজেন্ট করবে? আমার মতো মারিয়া ফ্যাশন টিভেতে ভূরি ভূরি আছে কিন্তু আমার মতো আরেকটি মারিয়া বাংলাদেশে নেই। তাই আমার কাছে মনে হয়েছে, দেশকে টেনে নেয়ার কাজটি আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সেই দায়িত্ববোধের জায়গা থেকেই আমার দেশে ফিরে আসা। শিক্ষার জন্য যদিও অনেকটা সময় দেশের বাইরে কাটাতে হয়েছে কিন্তু তারপরও বিদেশ থেকেই আমি দেশের জন্য কাজ করেছি। এখন সম্পূর্ণভাবেই দেশের জন্যই কাজ করে যাচ্ছি।
গ্রুমিং স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কি?
ভালো আর্টিস্ট তৈরির জন্যই মূলত গ্রুমিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি। নাম হচ্ছে, জেনেসিস। আমি বিদেশ থেকে যা শিখে এসেছি সেগুলো যেন, দেশকে, দেশের মানুষকে এবং পরবর্তী প্রজন্মকে দিতে পারি সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। সবার কাছ থেকেই ভালো সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি, ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বাজারে এটিকে নিয়ে যেতে পারবো। একটি সুখবর হচ্ছে, জেনিসিস প্রথমবারের মতো একটি মডেল এজেন্সি হিসেবে ইন্ডিয়াতে কাজ করতে যাচ্ছে। জেনিসিসের স্টুডেন্টরা অংশ নেবে।
বর্তমানে কাজের ব্যস্ততা কেমন?
বর্তমানে অনেক নতুন নতুন কাজ নিয়ে কথা হচ্ছে। এই পর্যায়ে এসে এখন আসলে নেপথ্যেই কাজ করতে চাচ্ছি। কারণ মডেলিং ক্যারিয়ারের তো বিশ বছর হয়েছে। তাই এখন সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করতেই নেপথ্যে কাজ করা দরকার।