শিরোনাম
মিস ইউনিভার্স খেতাব জিতে দেশে ফেরার তিন মাস পরই দুঃসংবাদ শোনালেন হারনাজ সান্ধু। তিনি জটিল সিলিয়াক রোগে আক্রান্ত। আর সে কারণে অস্বাভাবিকভাবে মুটিয়ে যাচ্ছেন পাঞ্জাবের ২১ বছর বয়সি এ সুন্দরী। খবর এনডিটিভির।
১৯৯৪ সালে প্রথমবার ভারতকে ‘মিস ইউনিভার্স’ মুকুট এনে দিয়েছিলেন বাঙালি অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। এরপর ২০০০ সালে এ খেতাব জিতেছিলেন অভিনেত্রী লারা দত্ত।
এর ২১ বছর পর তৃতীয় ভারতীয় হিসাবে এ খেতাব জিতেন হারনাজ ।
প্রতিযোগিতার ৭০তম আসরের বিজয়ী হিসাবে হারনাজের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৮০ প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে ‘মিস ইউনিভার্স’ খেতাব জেতা ২১ বছর বয়সি ফ্যাশন মডেল ও অভিনেত্রী হারনাজ সান্ধুর সেই সুখকর সময় যেন দ্রুত পাল্টে গেছে। পাল্টে গেছে তার ভক্তদের মানসিকতাও।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি অটোইমিউন কন্ডিশন, যাতে মানুষের ইমিউন সিস্টেম তার শরীরের বিরুদ্ধে কাজ করে। গ্লু-টেন জাতীয় খাবারে এটি আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে।
এ অবস্থার প্রভাবে অপুষ্টিজনিত সমস্যা, স্নায়ু ও হাড়ের সমস্যা মারাত্মক রূপ নিতে পারে। এতে ওজন কমে যেতেও পারে, আবার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যেতে পারে। দীর্ঘ সময়ের জন্য হজমের সমস্যার শঙ্কাও থাকে।
ওজন বাড়ার কারণে তাকে বিদ্রুপ সইতে হচ্ছে। এ বিষয়ে হারনাজ জানান, তিনি সিলিয়াক রোগে আক্রান্ত। সেই কারণে তার ওজন বেড়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রথমে আমাকে কম ওজনের জন্য কথা শুনতে হতো। এখন ওজন বাড়ছে, তবুও কটাক্ষ শুনতে হচ্ছে। নিজের পছন্দের খাবার খেতে পারি না।
তবে রোগ ও মোটা হওয়া নিয়ে মোটেও চিন্তিত নয় জানিয়ে হারনাজ বলেন, শরীর নিয়ে আমি বরাবরই সন্তুষ্ট। কে কী বললো বা না বললো তা চিন্তা করার সময় কই?
২০১৭ সালে হারনাজ মডেলিং শুরু করেন। তিনি পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। হারনাজ একাধারে হিন্দি, পাঞ্জাবি ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষ। তিনি পাঞ্জাবি ভাষায় শের লিখতে ভালোবাসেন।
ভারতের চণ্ডিগড়ে জন্ম নেওয়া হারনাজ পরিচিতি পান মূলত ফ্যাশন মডেল হিসাবেই; পাঞ্জাবি ভাষার দুটি চলচ্চিত্রেও তিনি অভিনয় করেছেন। এর আগে ‘মিস ডিভা-২০২১’, ‘ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া পাঞ্জাব-২০১৯’ সহ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন হারনাজ সান্ধু।