শিরোনাম
টালিউডের প্রথম সারির জনপ্রিয় নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এবার তিনি আহমেদাবাদ যেতে গিয়ে বেশ বিড়ম্বনায় পড়েছেন বলে জানা গেছে।
নায়িকার অভিযোগ, টানা ৪০ মিনিট ধরে অনুরোধ, উপরোধ, বচসা এমনকি কান্নাকাটির পরও কর্তৃপক্ষ তাকে বিমানে উঠতে দেয়নি। ওই বিমান কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে তিনি আহমেদাবাদে শ্যুটিংয়েও অংশ নিতে পারেননি।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, আহমেদাবাদে দিন-রাতের শ্যুটিংয়ে যাওয়ার কথা ছিল ঋতুপর্ণার। ফ্লাইট ছিল ভোরের। বোর্ডিংয়ের সময় ভোর ৪.৫৫ মিনিট। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত পৌঁছেছেন ৫.১২ মিনিটে। টানা ৪০ মিনিট ধরে অনুরোধ, উপরোধ। তার পরেও তাঁকে বিমানে উঠতে দেয়নি একটি বিমান সংস্থা!
ঋতুপর্ণা জানিয়েছেন, আহমেদাবাদের বিমান ধরার জন্য যাত্রীদের গেট নং ১৯-এ বোর্ডিংয়ের সময় ভোর ৪.৫৫ দেওয়া হয়েছিল। তিনি পৌঁছান ৫.১০ থেকে ৫.১২ মিনিটের মধ্যে। তাকে জানানো হয়, বোর্ডিং গেট অনেক ক্ষণ আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে! তাকে দেখতে না পেয়ে নির্দিষ্ট সময়ে নাকি তার নাম ঘোষণাও করেছেন কর্তৃপক্ষ। ফোনেও যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু নায়িকার দাবি, তার কাছে ফোনে কোনো কল আসেনি।
তিনি বলেন, সঠিক সময়ে শ্যুটিংয়ে না গেলে প্রযোজকের সমস্যা হবে। বন্ধ হয়ে যাবে শ্যুট। তাই তিনি ক্রমাগত বিমানবন্দরের কর্মীদের তাকে বিমানে উঠতে দেওয়ার অনুরোধ জানান। টানা ৪০ মিনিট তার সঙ্গে কথা হয় কর্মীদের। কিন্তু নায়িকার দাবি, তার সমস্যা কেউ বুঝতেই চাননি! বিমান ধরতে না পারার কষ্টে কেঁদেও ফেলেন অভিনেত্রী। তবু কোনও হেলদোল দেখা যায়নি কর্মীদের।
অথচ এই কথপকথন চলার সময়েই ঋতুপর্ণা দেখতে পান বিমানটি তখনো দাঁড়িয়ে! বিমানে ওঠার সিঁড়িও খুলে নেওয়া হয়নি!
অভিনেত্রীর কথায়, ‘মাত্র ৫০ পা দূরে বিমান দাঁড়িয়ে। আমি দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু যেতে পারছি না। অথচ আমার বোর্ডিং পাস থেকে শুরু করে সিট নম্বর সব আছে। কিছুদিন আগেই আমায় সংস্থার পক্ষ থেকে সম্মানসূচক পাসপোর্টও দেওয়া হয়েছে। নয় নয় করে বেশ কয়েক বার এই সংস্থার বিমানে চড়ে যাতায়াতও করেছি। কোনো দিন এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়নি!’
সূত্র: দেশ রূপান্তর