অঙ্কুশের ছবিতে টাকাও ঢেলেছিলেন পকেটমারিতে অভিযুক্ত রূপা

ফানাম নিউজ
  ১৬ মার্চ ২০২২, ০৪:৪৫

পকেটমারির অভিযোগে কলকাতার বইমেলা থেকে গ্রেফতার হওয়া টলিউড অভিনেত্রী রূপা দত্তকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এখন আলোচনা তুঙ্গে। সবারই জানার আগ্রহ, অভিনয়ের সাথে কেন এমন অপরাধ জগতে প্রবেশ ঘটলো তার?

বলিউড-টলিউড দু' জায়গাতেই কাজ করেছেন তিনি। তাই বইমেলা থেকে যখন শনিবার (১২ মার্চ) রাতে তার গ্রেফতারির খবর সামনে আসে তখন অবাক হয়েছিলেন অনেকেই।

জানা যায়, রূপা দত্তের বিপরীতেই টলিউডে পা রেখেছিলেন অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। তার প্রথম ছবি ‘কেল্লাফতের’ নায়িকা রূপা। শুধু অভিনয় নয়, ছবির জন্য টাকাও খরচ করেছেন তিনি। 

২০০৯ সালে ‘কেল্লাফতে’ ছবির শুটিং শুরু হয়েছিল। টানা এক বছর ধরে এর কাজ চলে। ২০১০ সালে সিনেমাটি মুক্তি পায়। কিন্তু অঙ্কুশ তখনকার রূপার সঙ্গে এই ধৃত অভিনেত্রীকে মেলাতে পারছেন না।

অঙ্কুশ ভারতীয় পত্রিকা আনন্দবাজারকে বলেন, ‘‘সম্ভবত তিনি ‘কেল্লাফতে’ ছবির একজন প্রযোজকও ছিলেন। টাকা ঢেলেছিলেন ছবিতে। যা জানতাম, সচ্ছল পরিবার থেকে এসেছিলেন রূপা। তার পরে বইমেলায় পকেটমারির ঘটনা শুনে চমকে উঠেছি আমি।’’

অঙ্কুশের মতে, কেউ অভাবে চুরি করেন, কেউ আবার স্বভাবে। তার কথায়, ‌‘‌‘রূপার ক্ষেত্রে কোনটা, তা জানি না। এতগুলো বছর পেরিয়ে গেছে। ২০১০ সালের পর কোনও যোগাযোগও ছিল না। এমনকি তিনি যে অনুরাগ কাশ্যপের নামে ‘অশ্লীলতা’র অভিযোগ তুলেছিলেন, সে তথ্যও ছিল না আমার কাছে। আকাশ থেকে পড়েছি আমি।’’

অন্যদিকে, সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে অঙ্কুশ একটি পোস্ট দিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে। যেখানে ‘কেল্লাফতে’ ছবির একটি গানের দৃশ্য দেখা যায়। সমুদ্রের জলে নাচছেন অঙ্কুশ-রূপা। ভিডিওর সঙ্গে অঙ্কুশ লিখেছেন, ‘মনে পড়ে প্রথম ছবির কথা। তখন আমার টাকাও ছিল না, তাই মানিব্যাগও ছিল না।’ পাশে হ্যাশট্যাগে ‘থ্যাঙ্ক গড’ (ভাগ্যিস) লেখা। 

সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করে অঙ্কুশ বলেন, ‘সত্যিই আমার কাছে কোনও টাকা থাকত না। বাবা যে ১০০-১৫০ টাকা দিত, তা প্যান্টের পকেটে রেখে দিতাম। শুটিংয়ে পৌঁছে গেলে তো বাকি খরচ প্রোডাকশনেরই। সে কথাই লিখেছি। আলাদা করে কাউকে নিয়ে মশকরা করিনি।’

উল্লেখ্য, শনিবার কলকাতা বইমেলায় রূপার সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ করেছিল সেখানে উপস্থিত পুলিশকর্মীরা। দেখা যায়, তিনি বেশ কয়েকটি টাকার ব্যাগ আবর্জনার মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন। স্পষ্ট উত্তর না পাওয়ায়, তার ব্যাগ খুলে পুলিশ তল্লাসি চালায়। সেখানে একাধিক মানিব্যাগ পাওয়া যায়। তার কাছ থেকে ৬৬ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। আর পাওয়া যায় একটি ছোট ডায়েরি। চুরির হিসাব-নিকাশ সেখানেই নথিবদ্ধ করা আছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। 

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস