শিরোনাম
ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে দায়ের করা রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা তিন মাসের জন্যে স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ ও মামলা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে মামলার বাদী র্যাব-১ এর কর্মকর্তা মজিবর রহমান সাক্ষ্য দেন। এরমধ্য দিয়ে এ মামলার পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। পরে আদালত মামলা আগামী তিন মাসের জন্যে স্থগিত করেন। একই সঙ্গে মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ ও মামলা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
এদিন মামলার বাদীর জবানবন্দি শেষে পরীমনি ও কবীর হালদারের পক্ষে অ্যাডভোকেট মাজেদুর রহমান মামুন তাকে জেরা করেন। কবীর হালদারের পক্ষে জেরা শেষ হলেও পরীমনির পক্ষে শেষ হয়নি। অন্য আসামি আশরাফুল ইসলাম দিপুর পক্ষে তার আইনজীবী এস এম আক্তারুজ্জামান হিমেল জেরা করেন। আদালত আগামী ২৯ মার্চ অবশিষ্ট জেরা এবং পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন।
পরীমনি অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী হাজিরা দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি আদালত অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে আসামি পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন। গত ৪ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে এ মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমনি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।
গত ৪ বছরের আগস্ট অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়। তার ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। তার পরদিন গত ৫ আগস্ট র্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী বিপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় দায়ের করেন।
সূত্র: জাগো নিউজ