শিরোনাম
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিন আফ্রিকার সমন্বয়ে গঠিত ব্রিকস জোটের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এ নতুন সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ যোগদান করেছে। এটিকে একটি সময়োপযোগী অর্জন হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য বৈদেশিক অর্থায়নের একটি নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত করবে যা আমাদের উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে’।
ব্রাজিল সরকারের নিকট বাংলাদেশের ইনস্ট্রুমেন্ট অব অ্যাকসেশন দাখিলের প্রেক্ষিতে ১৬ সেপ্টেম্বর ব্যাংকটিতে বাংলাদেশের যোগদান নিশ্চিত হয়। এ সদস্যপদ বাংলাদেশকে উল্লিখিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করবে।
২০১৫ সালে স্থাপিত এ ব্যাংকে ব্রিকস জোটের বাইরে বাংলাদেশই প্রথম সদস্যপদ লাভ করল। এ সদস্যপদ লাভের ফলে বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক এবং ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের পাশাপাশি আরও একটি বহুজাতিক ব্যাংকে বাংলাদেশের সদস্যপদ নিশ্চিত হল।
বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ধরে রাখার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জন এবং বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সুখী-সমৃদ্ধ-উন্নত দেশে পরিণত করতে বৈদেশিক অর্থায়ন নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মেধাভিত্তিক উন্নত দেশে পরিণত করতে বহির্বিশ্বের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বহুগুণে বৃদ্ধি করা আবশ্যক। একই সাথে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবকাঠামোতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ও অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম সফল করতেও বৈদেশিক অর্থায়ন জরুরি।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন অপ্রতিরোধ্য গতিতে রূপকল্প ২০৪১ অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ভৌত ও সামাজিক অবকাঠামো এবং নগর উন্নয়নে সরকার প্রচুর বিনিয়োগ করছে। এছাড়া সরকারের বেশ কিছু মেগা প্রজেক্ট বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন আছে। এ প্রেক্ষাপটে, নতুন এ ব্যাংকটির সদস্যপদ অর্জন করায় বৈদেশিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে আরও অনেক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে। এটি প্রধানমন্ত্রীর সফল অর্থনৈতিক কূটনীতির একটি উজ্জ্বল নিদর্শন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ইউনাইটেড ন্যাশনস সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশন্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশকে মর্যাদাপূর্ন এসডিজি’স প্রগ্রেস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। সম্মাননাটি প্রদানকালে বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ প্রফেসর জেফরি স্যাচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এই সংকটকালে অর্থনীতির ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী মূলক নেতৃত্ব ও অসামান্য অবদানের জন্য ‘জুয়েল ইন দ্য ক্রাউন’ অভিধায় আখ্যায়িত করেন।