শিরোনাম
আন্তর্জাতিক জ্বালানি তেলের দাম ব্যাপকভাবে কমছে। গত প্রায় এক মাসের ব্যবধানে প্রতি ব্যারেলে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ১৭ ডলার। প্রায় ১৯ শতাংশ। জ্বালানি তেলের দাম কমায় এখন থেকে যেসব এলসি খোলা হবে সেগুলোতে আমদানি খরচ কমবে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপও কমে যাবে। সব মিলে স্বস্তি ফিরে আসবে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনায়।
গত নভেম্বরের শুরুতে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে ৯০ ডলারে উঠেছিল। শনিবার তা কমে ৭৩ ডলারের নিচে নেমেছে। গত ২৭ দিনে তেলের দাম কমেছে প্রায় ১৯ শতাংশ। এদিকে তেলের দাম ৯০ ডলারে ওঠার পর সরকার প্রতি লিটারে ডিজিলের দাম বাড়িয়ে ৬৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা করেছে। এখন ৭৩ ডলারে নামায় সরকার লাভের মুখ দেখার কাছাকাছি রয়েছে। প্রতি ব্যারেল ৭১ ডলারে নামলে সরকার আগের দামে আয়-ব্যয়ে সমান অবস্থানে চলে যাবে। ৭১ ডলারের নিচে নামলে সরকার লাভের মুখ দেখবে। এদিকে দেশেও জ্বালানি তেলের চাহিদা ১০ থেকে ১২ শতাংশ হারে বাড়ছে। তেল আমদানিতে চলতি অর্থবছরের জুলাই সেপ্টেম্বরে এলসি খোলা বেড়েছে ৭০ শতাংশের বেশি।
একই সঙ্গে আমদানি ব্যয় বেড়েছে ৬০ শতাংশের বেশি। তেল আমদানিতে সরকার ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে থাকে ১৫০ কোটি ডলার। বাড়তি দামের কারণে আরও বেশি ঋণের সংস্থান করছিল। কিন্তু তেলের দাম কমায় এক দিকে আমদানি ব্যয় যেমন কমবে, তেমনি এ খাতে বাড়তি ঋণ নাও লাগতে পারে। কেননা দাম কমার কারণে আমদানি ব্যয়ও কম হবে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় চাপ কমবে। এদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে সরকারের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি বেড়েছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। গত অর্থবছরে এ হিসাবে উদ্বৃত্ত ছিল। ঘাটতি মেটাতেও সরকার বাড়তি ঋণের আয়োজন করছিল। তেলের দাম কমলে বাড়তি ঋণের প্রয়োজন হবে না বলে অনেকেই মনে করেন।