শিরোনাম
রপ্তানি কনটেইনার সংকট নিরসনের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম গতিশীল করতে কতিপয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার বন্দরের এক জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে, কলম্বোগামী ফিডার ভেসেলগুলোকে অগ্রাধিকারভাবে বার্থিং দেওয়া। মার্স্কলাইন প্রতি মাসে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১২টি জাহাজ চট্টগ্রাম সিঙ্গাপুর রুটে পরিচালনা করছে; তারা প্রিন্সিপালের সাথে সমন্বয় করে প্রতি মাসে ন্যূনতম তিনটি ফিডারকে চট্টগ্রাম-সিঙ্গাপুরের পরিবর্তে চট্টগ্রাম-কলম্বো রুটে পরিচালনার উদ্যোগ নেবে। কলম্বোগামী শতভাগ এক্সপোর্ট লোডার থাকলে এসব জাহাজকে চট্টগ্রাম বন্দরে অগ্রাধিকার বার্থিং দেওয়া হবে।
বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, নতুন কোনো ফিডার অপারেটর বা বর্তমান ফিডার অপারেটরগণও চট্টগ্রাম-কলম্বো রুটে নতুন ফিডার জাহাজ পরিচালনায় আগ্রহী হলে তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনুমোদন করা হবে। বিজিএমইএ অনতিবিলম্বে বায়ার্স ফোরামের সঙ্গে সভা করবে। বায়ারগণ তাদের নমিনেশন কেবলমাত্র একটি লাইন ফরোয়ার্ডারকে দিয়ে তা স্প্লিট করে দেবে। এতে একচেটিয়াত্ব পরিহার করা সম্ভব হবে।
অফডক বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও বিজিএমইএ অনতিবিলম্বে বায়ার্স ফোরামের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কোনো বিশেষ অফডককে নমিনেশন না দিয়ে সব অফডককে স্প্লিট করে নমিনেশন দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এতে অফডকের ওপর এককভাবে চাপ পড়বে না। বিভিন্ন ক্যারিয়ারের সঙ্গে চালু থাকা কমন ক্যারিয়ার অ্যাগ্রিমেন্ট এবং মেইনলাইন অপারেটরগণের নিজেদের মধ্যে চালু থাকা ডিরেক্ট ইনটারচেঞ্জ পদ্ধতি ক্যারিয়ার এবং এমএলওগণ সমন্বয়ের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করবেন, যাতে রপ্তানিপণ্য শিপমেন্ট দ্রুততর হয়।
অফডক থেকে খালি কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দর অভ্যন্তরে এনে দ্রুত খালি হিসেবে জাহাজে শিপমেন্টের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে অফডকসমূহের রপ্তানি কনটেইনার সংরক্ষণে স্পেস সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দও থেকে খালি কনটেইনার শিপমেন্ট অব্যাহত রেখে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার সংরক্ষণের জন্য জায়গা খালি করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।