শিরোনাম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মুরগি ও ডিমের বাজার দর বেঁধে দিলেও সেই দরে বিক্রি হচ্ছে না মুরগি ও ডিম। পাকিস্তানি এবং ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজিতে ২০ টাকা ও ডিমের বাজার ১০ টাকা বেড়েছে। খুচরা ক্রেতারা জানান, এটি বৃষ্টির প্রভাব নাকি খামারি এবং পাইকারি ব্যবসায়ীদের কারসাজি তা বলতে পারছেন না তারা। অপরদিকে ক্রেতারা বলছেন, খুচরা বিক্রেতারা যদি সরকার নির্ধারিত দাম মানবেন না তাহলে দাম বেঁধে দেওয়ার মানেটা কি!
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট ঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতার সাথে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা, লেয়ার ৩০০ টাকা এবং পাকিস্তানি কক ২৬০ টাকা। অথচ এই মুরগী দুই দিন আগেও ব্রয়লার ১৭০ টাকা এবং পাকিস্তানি কক ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। গতকাল সোমবারও দাম একই ছিল। কিন্তু বিকেলে দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্র সকাল থেকে এ কারবার শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা।
মোহাম্মদপুর মার্কেটের মুরগী বিক্রেতা রুবেল বলেন, স্যার আমরা কি করব বলেন! প্রতি কেজি মাত্র ১০ টাকা লাভ করি। দাম বাড়ছে পাইকারি ও খামারি পর্যায়ে। তবে এটা বৃষ্টি নাকি অন্য কারণে তারাই ভালো বলতে পারবে।
এই বাজারে ফার্মের মুরগীর লাল ডিম ১৬০-১৭০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে। সেই হিসেবে প্রতি ডিমের দাম পড়ছে ১৩ টাকা ৩৩ পয়সা এবং ১৪ টাকা ১৬ পয়সা। অন্যদিকে একই বাজারে দেশি ডিম-২৪০ টাকা, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি প্রতিটি মুরগির ডিম ২০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ১৮ টাকা ৩৩ পয়সা।
এ বাজারের ডিম বিক্রেতা সাজু বলছিলেন, আমরা কি করব যদি বেশি দামে কিনতে হয় তাহলো তো লাভ কিছু করতে হবে।
তার সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে ডিম কিনতে আসেন এক ক্রেতা। ডিমের দাম হঠাৎ চড়া শুনে তিনি বলেই ফেললেন, দামটা নির্ধারণ করে দেওয়ার দরকারটা কি ছিল! আগেই তো ভালো ছিল।
গরুর মাংসের বাজারে ৭৭০-৮০ টাকা বিক্রি করছেন মাংস ব্যবসায়ী মকবুল। তিনি জানালেন, আমরা কোনো দাম বাড়াইনি। যা দাম তাই বিক্রি করছি। কিন্তু এ মাংস আরেক বাজারে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখন রাজধানীতে গরুর মাংসের দাম বাজার ভেদে ওঠা নামা করছে বলেও জানালেন তিনি।
তবে এ বাজারে যারা আস্ত মুরগি কিনতে চান না তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রেখেছেন দোকানি। মুরগীর চিকেন ব্রেস্ট ৩৮০ টাকা, থাই মিট ৩৫০ টাকা, পাকনা ২৫০ টাকা এবং চিকেন রান ৩০০ টাকা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে।