শিরোনাম
দেশের আরও তিন বেসরকারি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক খাত এস আলমসহ লুটেরাদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ব্যালকগুলো হলো- ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। এদের মধ্যে ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক বিতর্কিত শিল্প গ্রুপ এস আলমের নিয়ন্ত্রণে। আর সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের পরিবারের নিয়ন্ত্রণে ইউসিবিএল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র বলছে, এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা দুটি ব্যাংকে পাঁচ থেকে সাতজন স্বতন্ত্র পরিচালক দিয়ে পর্ষদ গঠন করে দেওয়া হতে পারে। আর ইউসিবি ব্যাংকের পর্ষদে পারটেক্স গ্রুপের প্রতিনিধি পরিচালক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০১৭ সালে ইউসিবির পর্ষদ থেকে পারটেক্স গ্রুপের সবাইকে সরিয়ে কর্তৃত্ব নেয় সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের পরিবার। এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাদের আর ব্যাংকে ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শেয়ারহোল্ডার ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, ইউসিবির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পারটেক্স গ্রুপের এম এ হাসেম পরিবার মালিকানা ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করছে। এ জন্য বুধবার কয়েকজন শেয়ারহোল্ডারের নামে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও বিএসইসি চেয়ারম্যান বরাবর একটি চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে ব্যাংকের আর্থিক দুরবস্থার চিত্র তুলে ধরে অবিলম্বে মালিকানার পরিবর্তন চাওয়া হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এস আলম গ্রুপের দখলে থাকা বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষার্থে এবং ব্যাংকিং সুশাসন নিশ্চিতকল্পে ও জনস্বার্থে ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারার ক্ষমতাবলে নতুন এ পর্ষদ নিয়োগ করা হয়েছে।
ইসলামী ব্যাংকের পর এবার সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে এস আলম গ্রুপ। কারণ গত রোববার সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংকটিতে এস আলম গ্রুপের ব্যাপক আধিপত্য ছিল।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, আস্তে আস্তে এস আলমের মালিকানাধীন সব ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দেওয়া হবে।