শিরোনাম
আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে দেশে বাড়ছে সকল প্রকার নিত্যপণ্যের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি নির্ভর পণ্য পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে বাড়ছে এসব পণ্যের দাম। জ্বালানি তেলের দাম না কমলে এসব পণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা খুবই কম। সরকারি মহল বলছে, নিত্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
জানা গেছে, লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে বিশ্ববাজারে এখন প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৮০ ডলারে এসে ঠেকেছে। জ্বালানি তেলের এই দাম গত সাত বছরের মধ্যে বিশ্ববাজারে এখন সর্বোচ্চ। ২০১৮ সালের অক্টোবরের পর গত জুনে করোনার প্রকোপের মধ্যে প্রথমবারের মতো অপরিশোধিত জ্বালানি তেল প্রতি ব্যারেলের দাম ৭৫ ডলারে ওঠে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের পাশাপাশি রেন্ট ক্রুড অয়েল ও হান্টিং অয়েলের দাম ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। গত এক মাসে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ। ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১৫ শতাংশ। আর হান্টিং অয়েলের দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশের ওপরে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আমদানি করা চাল বাজারে উঠতে শুরু করায় উচ্চমূল্যেই স্থির হয়ে আছে সকল প্রকার চালের দাম। বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। এ সময় বেড়েছে আটা-ময়দার দামও। চিনির দাম আকাশ ছুঁয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে দাম নির্ধারণ করে দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ব্যবসায়ীদের পছন্দের দামেই বিক্রি হচ্ছে চিনি।
ব্যবসায়ীদের দাবি, এসব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণ আন্তর্জাতিক বাজার। আমদানি নির্ভর এসব পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে এর প্রভাব এখানকার বাজারে বাড়বেই। এর ওপর যুক্ত হয়েছে পরিবহন খরচ। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে দেশে বিদেশে সর্বত্রই পরিবহন খরচ, বিশেষ করে জাহাজ ও ট্রাক ভাড়া বেড়েছে। যা পণ্যের মূল্যে প্রভাব ফেলেছে।
এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পেঁয়াজ হারভেস্ট করেছে সেই এপ্রিল মাসে, এতদিন পর্যন্ত পেঁয়াজ থাকে না। পেঁয়াজ চাষিরা সব বিক্রি করে দেন। পেঁয়াজ পচনশীল ও মজুদ রাখার তেমন কোনও ব্যবস্থা না থাকায় মৌসুমের শেষের দিকে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। গ্রীষ্মকালীন ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ বাজারে আসার পরপরই আগামী ১৫ থেকে ২ দিন পর দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।
জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব তো কেউ আটকে রাখতে পারবে না। এর প্রভাব তো পড়বেই। তবে নিত্যপণ্যের দাম অবশ্যই সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে।