শিরোনাম
বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে চীনা মুদ্রা ইউয়ানের ব্যবহার বাড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে দেশের ব্যাংকগুলো ঋণপত্র (এলসি) ও ব্যাংকের বিদেশি শাখার সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের লেনদেনের সুবিধার্থে ইউয়ানে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে।
সংকটের মুখে ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে ইউয়ানের ব্যবহার বাড়াতে বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সার্কুলারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, এডি শাখাগুলো চীনের ব্যাংকের সঙ্গে ইউয়ান মুদ্রায় ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে। এর মাধ্যমে ডলার, ইউরো, জাপানি ইয়েন, যুক্তরাজ্যের পাউন্ড ও কানাডিয়ান ডলারের মতো বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে লেনদেন করতে চীনের মুদ্রা ইউয়ান কিনতে ব্যাংকগুলোর অথরাইজ ডিলার (এডি) শাখাগুলোকে অনুমোদন দেওয়া হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।
এর আগে, ২০১৮ সালের আগস্টে এক নির্দেশনায় চীনের সঙ্গে লেনদেন সহজ করতে এডি ব্যাংকগুলোকে ইউয়ান দিয়ে সরাসরি আমদানি ও রপ্তানি দায় নিষ্পত্তির জন্য ক্লিয়ারিং অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, সরকার ২০১৪ সালের মার্চে একটি প্রজ্ঞাপনে ইউয়ানকে রূপান্তরযোগ্য মুদ্রা হিসেবে ঘোষণা করেছিল। তবে অনেক ব্যাংক এখনো আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ইউয়ান ব্যবহার করছে না। এ অবস্থায় ব্যাংকগুলো যেন বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয় সে জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক গতকাল আবার নোটিস জারি করেছে বলে জানান তিনি।
দেশের ব্যবসায়ীরা সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ডলারের ওপর নির্ভরতা কমানোর আহ্বান জানিয়েছে। ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, বাণিজ্য ও ব্যাংক উভয় ক্ষেত্রেই ভিন্ন মুদ্রা ব্যবহারে এগিয়ে এলে বৈদেশিক বাণিজ্যে বৈচিত্র্য আসবে। এ ধরনের পদক্ষেপ নিলে এলসি খোলা ও নিষ্পত্তিতে একক বৈদেশিক মুদ্রার ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমে আসবে।
আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারও ১০৬ টাকা ৯০ পয়সায় ডলার বিক্রি হয়েছে। এক বছর আগে (গত বছর ১০ সেপ্টেম্বর) ছিল ৮৫ টাকা ২০ পয়সা। এ হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দর বেড়েছে ২৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।