শিরোনাম
চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের নয় মাসে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণ অর্ধেকে নেমেছে। অর্থাৎ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে অভ্যন্তরীণ এ উৎস থেকে সরকার ঋণ নিয়েছে ১৬ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা। যা গত ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-মার্চ) এর পরিমাণ ছিল ৩৩ হাজার ২০৩ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টদের মতে, সঞ্চয়পত্র কেনায় কড়াকড়ি আরোপ এবং সুদ ও আসল পরিশোধে খরচ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের নিট ঋণ কমে গেছে।
জানা গেছে, মার্চ পর্যন্ত সময়ে সঞ্চয়পত্রে সরকারের মোট তিন লাখ ৬০ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে। এর বিপরীতে প্রতি মাসে গড়ে সুদ পরিশোধে খরচ হচ্ছে প্রায় তিন হাজার ৩১০ কোটি টাকা। তাছাড়া মেয়াদ পূর্তি বা অন্য প্রয়োজনে অনেক গ্রাহক নগদায়ন করছেন। আবার সুদহার কমানো হয়েছে ১৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রে। আর একক গ্রাহকের ক্রয়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের কারণে গ্রাহক নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত সঞ্চয়পত্র কিনতে পারছেন না। তাছাড়া সঞ্চয়পত্র কেনায় টিআইএন ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এখন বাধ্যতামূলক। এসব নানাবিধ কারণে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি কমছে। যদিও এখনো ব্যাংকের তুলনায় অনেক বেশি সুদ পাওয়া যায় সঞ্চয়পত্রে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের মার্চে নিট এক হাজার ৮১৫ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। যা ২০২১ সালের একই মাসে এর পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৮৯১ কোটি টাকা। আর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিক্রি হয়েছিল ২ হাজার ৫২৩ কোটি এবং জানুয়ারি মাসে ২ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি বছরের প্রতি মাসেই ধারাবাহিকভাবে বিক্রি কমেছে।
চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি পূরণে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে নিট ৩২ হাজার কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের মূল বাজেটে ২০ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও সরকার শেষ পর্যন্ত ৪১ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা ঋণ নেয়।
সূত্র: জাগো নিউজ