শিরোনাম
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)-এর ক্যাম্পাসে এসেই অ্যাকশন নিলেন নবনিযুক্ত ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান। যোগদানের পর প্রথম ক্যাম্পাসে এসেই তিনি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে আবাসিক হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের হল বের করে দিয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাতেই নতুন ভাইস চ্যান্সেলরের নির্দেশে হাবিপ্রবি’র ৪টি হল থেকে অবৈধভাবে অবস্থানকারী প্রায় ৬’শ শিক্ষার্থীকে বের করে দিয়ে সব হল সিলগালা করে দিয়েছে প্রশাসন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৈশ্বিক করোনা মহামারী পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে কোন শিক্ষার্থী অবস্থান না করার জন্য কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারী করে। কিন্তু ভাইস চ্যান্সেলর শূন্য হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি হলে এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শুরু থেকেই অবস্থান করছিলো বেশ কিছু শিক্ষার্থী।
প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে ক্রমেই শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে গিয়ে ৪টি হলে অবস্থান করে প্রায় ৬’শ শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতিপূর্বে কয়েকটি হলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলেও শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে একদিন পরেই সংযোগ দিতে বাধ্য হয়। গত ৩০ জুন হাবিপ্রবিতে নতুন ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান নিয়োগ পাওয়ার পর গত ৩ জুলাই তিনি প্রথম ক্যাম্পাসে আসেন। এসেই তিনি জানতে পারেন হাবিপ্রবি’র হলগুলোতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবস্থান করছে শিক্ষার্থীরা।
গত রবিবার হাবিপ্রবি’র ডিনদের সঙ্গে এক জরুরী বৈঠক শেষে হলগুলো খালি করার জন্য মৌখিকভাবে কঠোর নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের জন্য বলা হয়। কিন্তু এরপরও তারা অবস্থান করায় প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ খালেদ হোসেন ও ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ ইমরান পারভেজের নেতৃত্বে গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে হলগুলোতে বিশেষ অভিযান শুরু করা হয় এবং ৪টি হল খালি করে প্রধান গেট সিলগালা করে দেওয়া হয়।