কড়া নজরদারি নিশ্চিতের পর খুলছে বিশ্ববিদ্যালয়

ফানাম নিউজ
  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:০৭

স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে যাচ্ছে। তবে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও কড়াকড়ি নজরদারি থাকছে। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হবে সিসিটিভি।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও সংকট তৈরি হতে পারে। সম্ভাব্য সংকট নিরসনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালগুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া ক্যাম্পাসে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বিশেষ নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়ানোর বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়।

সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার পর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনবে। ক্যাম্পাসে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টদের কড়া নজরদারি থাকবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও চলাচলের স্বাধীনতা যাতে বিঘ্ন না হয়, সেদিকেও নজর রাখবে কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন,দীর্ঘদিন করোনা মহামারির কারণে বন্ধ থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর খোলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রস্তুতি নেয়ার বিষয়ে ইউজিসির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আমাদের নিজেদেরও নানা ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ চলছে।

ইউজিসি থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, সারাদেশে সব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পুনরায় চালু হওয়ার পর যেন কোনো ধরনের ‘অরাজক পরিস্থিতি’ তৈরি না হয়, সেজন্য এ চিঠিতে নির্দেশনা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয় ওই চিঠিতে।

একইসঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো ধরনের জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কি-না, সেই ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য ইউজিসিকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ইউজিসির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর করোনা সংক্রমণ কমাতে স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ‘বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হল খোলার পর কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য ক্যাম্পাসে গোয়েন্দা নজরদারি প্রয়োজন হতে পারে। আমরা চাই না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন করে কোনো ধরনের আন্দোলন ও সংকট সৃষ্টি হোক। এজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে গত সপ্তাহের শেষদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।