নজরুলের দর্শন ও চেতনা সব শ্রেণির মানুষকে অনুপ্রাণিত করে : ঢাবি উপাচার্য

ফানাম নিউজ
  ২৭ আগস্ট ২০২২, ১৬:২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, কাজী নজরুল ইসলামের দর্শন ও চেতনা সব শ্রেণির মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।

শনিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবি’র সমাধি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় উপাচার্য এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন অসাম্প্রদায়িক, মানবিক, সাম্য ও প্রেমের কবি।

তিনি নজরুলের অনবদ্য সৃষ্টিসমূহের নিয়মিত চর্চা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও বেগবান করার জন্য শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় কবির অসাধারণ সাহিত্য সম্ভার ও সৃষ্টিকর্ম আমাদের অমূল্য সম্পদ। সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সাম্প্রদায়িকতা, অমানবিকতা, অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন, নিষ্ঠুরতা ও অশুভ শক্তি মোকাবিলায়  নজরুলের প্রাসঙ্গিকতা সব সময় রয়েছে। তিনি আমাদের অফুরান প্রেরণার উৎস।

উপাচার্য বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি কাজী নজরুলকে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে এনে জাতীয় কবির মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে যথার্থভাবে সম্মানিত করেছেন। তাই কবি নজরুলের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সাথে সাথে বঙ্গবন্ধুর নাম চলে আসে।

আলোচনা সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম (সিরাজ সালেকীন) বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক।

এর আগে কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল সোয়া ৭টায় উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শোভাযাত্রা সহকারে কবির সমাধিতে গমন, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন।

এ ছাড়া, বাদ ফজর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়া’য় কোরআনখানি অনুষ্ঠিত হয়।