শিরোনাম
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে (মমেক) অনির্দিষ্টকালের জন্য ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় কলেজের জরুরি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে এই সিদ্ধান্ত হয়।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ চিত্ত রঞ্জন দেবনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কলেজ ক্যাম্পাসে মিছিল, মিটিং, সভা-সমাবেশসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কলেজের ছাত্রাবাস ও কলেজ ক্যাম্পাসের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যস্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যে কোনো পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কলেজ কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়াই যে কোনো শিক্ষার্থীকে আটক এবং তার কক্ষে তল্লাশিসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ৫৩ ব্যাচের ছাত্র এবং কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসান অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
ওই অভিযোগে আব্দুল্লাহ আল হাসান দাবি করেন, সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা.আবুল কালাম আজাদ উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে একজন ডিএসবির সদস্যের সামনে সার্জারি বিষয়ের মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা সম্পন্ন করেন।
এছাড়া বিভিন্ন সময় ওই শিক্ষক সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকেন। নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী সরকার দলীয় ছাত্রদের ফেল করানোর কথাও অভিযোগে উল্লেখ্য করেন।
ওই অভিযোগের পর গত (২৩ ফেব্রুয়ারি) সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ৫৩ ব্যাচের এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে মমেক গেটের সামনে মানববন্ধন করে অধ্যাপক আজাদের বহিষ্কার দাবি করেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসানসহ তার অনুসারীরা।
এ ঘটনার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি গাইনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তাইয়্যুবা তানজিনকে প্রধান তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি ছাত্রলীগ ওই শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করার কোনো সত্যতা না পাওয়ায় মমেক শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হাসানসহ ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়।
সূত্র: জাগো নিউজ