মুড়িকাটা পেঁয়াজের বাম্পার ফলনেও দুশ্চিন্তায় চাষিরা

ফানাম নিউজ
  ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:২৬

আগাম জাতের ‘মুড়িকাটা’ পেঁয়াজ উৎপাদনে বাম্পার ফলনেও মন ভালো নেই পাবনার পেঁয়াজ চাষিদের। তাদের অভিযোগ, বাজার ভারসাম্যহীনতায় মিলছে না ন্যায্যমূল্য। লোকসান ঠেকাতে আমদানি বন্ধ এবং কৃষক পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট বাজার মূল্য নির্ধারণের দাবী পেঁয়াজ চাষিদের। সূত্র: আরটিভি

তবে কৃষি বিভাগ বলছে, মুড়িকাটা পেঁয়াজ বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় না। আর বাজারে একসঙ্গে সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কম পাচ্ছেন চাষিরা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঘন কুয়াশা ঢাকা শীতের ভোরে মাঠ থেকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন পাবনার পেঁয়াজ চাষিরা। আগাম জাতের এই পেঁয়াজ আবাদে কিছুটা সচ্ছলতার মুখ দেখছেন তারা। সেই সঙ্গে বাজারে পেঁয়াজ বাজারের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখছেন উত্তরের পেঁয়াজ চাষিরা। নতুন পেঁয়াজ বেচা-কেনায় চাষি-পাইকারদের হাঁকডাকে এখন এমনই সরগরম পাবনার হাটগুলো। চলতি মৌসুমে পাবনায় ৯ হাজার ৩০৫ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন।

আবহাওয়া ভালো থাকায় পাবনায় মুড়িকাটা পেঁয়াজের বাম্পার ফলন পেয়েছেন চাষিরা। বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৬০ মণ গড় ফলনে ছাড়িয়েছে কৃষি বিভাগের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাও। প্রথম দিকে চাষিরা প্রতি মণ পেঁয়াজে ১৩০০ টাকা পেলেও, হাট-বাজারে সরবরাহ বাড়ায় হঠাৎই কমে গেছে দাম। যে কারণে ভালো ফলনেও চাষিরা পড়েছেন লোকসানের দুশ্চিন্তায়।

পাবনার সুজানগর উপজেলার মানিকহাট গ্রামের পেঁয়াজ চাষি আশরাফুজ্জামান টিংকু, গাজিমুদ্দিন, মগরেব প্রামাণিকসহ অনেকেইে জানান, বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৬০ মণ ফলন হলেও পেঁয়াজ আবাদে শ্রমিক, সার, বীজ, কীটশাকের মূল্য বৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ তোলা নিয়ে শঙ্কিত তারা। বর্তমান বাজারে পেঁয়াজ ৮০০ থেকে ৯০০টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। তাতে তাদের লোকসান ঠেকানোই কঠিন। লোকসান ঠেকাতে আপাতত বিদেশি পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ও উৎপাদন খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সরকারি বাজার মূল্য নির্ধারণের দাবী তাদের।

সুজানগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম বলেন, কৃষকেরা যেভাবে লোকসান বলছেন তিনি তা মনে করেন না। ফলন খুবই ভালো হয়েছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজ বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় না। আর বাজারে একসঙ্গে সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কম পাচ্ছেন চাষিরা। তবে পেঁয়াজ চাষিরা লাভবান হবেন।