শিরোনাম
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষ হওয়া ১৫ কেজি ওজনের জাপানি মুলা দেশজুড়ে ব্যাপক খ্যাতি পেয়েছে। উপজেলার চাষিরা মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের ওরসে মাঘের মেলায় বিক্রির উদ্দেশ্যে বিক্রি উপযোগী করেন। সূত্র: আরটিভি
ওরশে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের কাছে ওই মুলা বেশ জনপ্রিয়। চাষিরা কিংবা ব্যবসায়ীরা ২৩ এবং ২৪ জানুয়ারি সকাল পর্যন্ত মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে জমজমাটভাবে মুলা বিক্রি করেন।
মূলত, মুলার ৯০ ভাগ উৎপাদনই আসে চরাঞ্চল থেকে। ফটিকছড়ি উপজেলার প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হলদা নদী, ধুরুং খাল ও সত্তা খালের চরে ব্যাপক জায়গাজুড়ে চাষিরা ওই মুলার চাষ করেন। আকারে ওই মুলা লম্বায় প্রায় ৩ ফুট এবং ওজনে ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। খেতেও অনেক সুস্বাধু।
উপজেলার সুন্দর ইউনিয়নের কৃষক আহমদ হোসেন বলেন, প্রতিবছরই আমি হালদার চরে জাপানি মুলার চাষ করি। বড় আকারের মুলা উৎপাদন করে নিজেরও ভালো লাগে। প্রতিবছর মাঘের মেলার কথা মাথায় রেখে মুলা উৎপাদন করি। স্থানীয়দের চেয়ে অন্য জেলার মানুষের কাছে ওই মুলার চাহিদা বেশি বলে আমরা ব্যবসার জন্য মাঘের মেলাকেই টার্গেট করি।
ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসর লিটন দেবনাথ বলেছেন, আমি দেশের অন্য কোথাও এত ওজনের মুলা দেখিনি। এখানে এই মুলা ওজনে সবের্বাচ্চ ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়। মূলত পলিমাটিতে এর উৎপাদন ভালো হয় বলে চাষিরা চরাঞ্চলে জাপানি মুলার চাষ করে থাকেন। লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।