বাংলাদেশী আহাদকে খুঁজছে মালয়েশিয়ার এসপিআরএম

ফানাম নিউজ
  ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭:০৩

দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত বাংলাদেশের মানিকগঞ্জের নাগরিক আব্দুল আহাদ খান'কে খুঁজছে মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন বিভাগ। দেশটির অভিবাসন আইন ভঙ্গ ও কোম্পানি খুলে ব্যাপক দুর্নীতি'র অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। সূত্র: আরটিভি

৪৯ বছর বয়সী আবদুল আহাদ খান বর্তমানে পলাতক আছেন। স্থানীয় সময় বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) তাকে ধরিয়ে দিতে দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশন ও স্থানীয় গণমাধ্যমসহ মালয়েশিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি প্রকাশ করে খোঁজ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে মালয়েশিয়ার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন অফিসিয়াল পেইজে ওই বাংলাদেশীর ছবিসহ প্রকাশ করে ধরিয়ে দেয়ার জন্য সাধারণ জনগণের সহযোগিতা কামনা করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্র বলছে, ফেইস মাস্ক উত্পাদনের নামে কোম্পানি খুলে নানা অনিয়মের অভিযোগে দেশটির তেরেঙ্গানু উমনো লিয়াজোঁ কমিটির চেয়ারম্যান দাতুক সেরি আহমেদ সাইদ কর্তৃপক্ষকে ওই বাংলাদেশী'র বিরুদ্ধে তদন্ত করতে বলেছিলেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রচারিত বিজ্ঞাপনে পলাতক আবদুল আহাদ খানের পাসপোর্ট নাম্বার: EE0016735 এবং তার সর্বশেষ মালয়েশিয়ার ঠিকানা ১৫০-৩-৬ নম্বর, ভিলা ফ্লোরা কন্ডোমিনিয়াম, টিটিডি, কুয়ালালামপুর দেয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে , পলাতক আহাদের অবস্থান সম্পর্কে কোনও তথ্য জানা থাকলে সরাসরি তা তদন্তকারী কর্মকর্তা নূর আথিকা আজিজ'কে ফোনে (০১৭৩ ৪৩২৯২৩/ ০৯-৬৩০১৯২০) অথবা ই-মেইলে ([email protected]) জানানোরও আহ্বান জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পলাতক আহাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় ও অভিবাসীদের প্রতারণার বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে যা একের পর এক বের হয়ে আসছে।

একটি সূত্র বলছে পলাতক আহাদ একজন আন্তর্জাতিক প্রতারক। কয়েক বছর আগে প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত হলে তাকে নেদারল্যান্ডস থেকে কালো তালিকাভুক্ত করে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সুকৌশলে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় এসে প্রতারণার জাল বিস্তার করে আহাদ। প্রতারক আহাদ একই সঙ্গে রণজিৎ রয় নামে আরও একটি পাসপোর্ট বহন করছেন, যার পাসপোর্ট নাম্বার: EE0016735 ( আব্দুল আহাদ খান) ও BW0862531 (রনজিত রয়)। মূলত প্রতারণার জন্যই একাধিক পাসপোর্ট ব্যবহার করেন তিনি।

২০১৮ সালে আবদুল আহাদ খান নামের পাসপোর্ট বানিয়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেন তিনি। এরপর থেকে প্রবাসী ব্যবসায়ীদের খুঁজে খুঁজে তাদের সাথে ব্যবসায়ীক পার্টনার বনে লক্ষ লক্ষ রিঙ্গিত হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সেসব অভিযোগে মালয়েশিয়ার আদালতে করা মামলা এখনও বিচারাধীন।

প্রবাস এর পাঠক প্রিয়