শিরোনাম
কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার (১৮ অক্টোবর) উপ-হাইকমিশনের বাংলাদেশ গ্যালারিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। এছাড়া অনাথ ও দুস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।
আলোচনা সভার শুরুতেই বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর শেখ রাসেলের জীবনের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে অংশ নেন বঙ্গবন্ধু গবেষক শ্রী সৌগত চট্টোপাধ্যায়, শেখ রাসেলের বাল্যবন্ধু ও প্রতিবেশী মিজ নাতাশা আহমাদ এবং প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন।
এ ছাড়া কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম এবং প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মোহাম্মদ শামসুল আরিফ যথাক্রমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-১) ও দূতালয় প্রধান মিজ শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি। আলোচনা সভায় মিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ কলকাতার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনাসভায় উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, রাসেল ছোটজীবনে যে চমৎকার ও সাবলীল ব্যক্তিত্বের পরিচয় দিয়েছেন তা আগামী প্রজন্মের শিশুদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
সৌগত চট্টোপাধ্যায় বলেন, রবীন্দ্রনাথও ১১ বছর বয়সে হারিয়েছিলেন তার ছোট ছেলে শমীন্দ্রনাথকে। বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু নোবেল বিজয়ী দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের নামে রেখেছিলেন তার কনিষ্ঠ সন্তানের নাম।
নাতাশা আহমাদ বলেন, রাসেল সবাইকে নিয়ে খেলতে ভালোবাসতো, যদিও তার জীবন অন্যদের মতো ছিল না। কবুতর ছিল শিশু রাসেলের খুব প্রিয়। সেজন্য কবুতরের মাংস তিনি খেতেন না।
কবিতা আর গানে শেখ রাসেলের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় শিশু-কিশোররা। যুগলবন্দি হয়ে গান আর কবিতা পরিবেশন করেন চিরন্তন ব্যানার্জী ও শুভদীপ চক্রবর্তী।