শিরোনাম
বাংলাদেশ ও প্রাচীন সভ্যতার দেশ গ্রিসের সমঝোতা চুক্তি সংসদে অনুমোদন হওয়ায় প্রতি বছরে চার হাজার কর্মী নেওয়ার পাশাপাশি দেশটিতে থাকা অবৈধ ১৫ হাজার বাংলাদেশিকে বৈধতা দেওয়া হবে। ৫ বছরের ভিসা দিয়ে একই আইনে বৈধতার আওতায় আনা হবে অনিয়মিতদের।
এক্ষেত্রে অবৈধ অভিবাসীরা বৈধ হয়ে কৃষি শ্রমিক হিসেবে বছরে নয় মাস কাজ করার সুযোগ পাবেন। নিজ দেশে তিন মাস বাধ্যতামূলক যাতায়াতের জন্য সুযোগও থাকবে।
অনিয়মিত বাংলাদেশিদের নিয়মিতকরণ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস এথেন্স থেকে আরেকটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়মিতকরণের এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সংঘটিত হবে বিধায় এতে কোনো এজেন্সির সহায়তার প্রয়োজন হবে না।
এছাড়া প্রয়োজনে দূতাবাস থেকেও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আবেদনের জন্য সহায়তা দেওয়া হবে। আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে গ্রিসে বসবাসরত অনিয়মিত বাংলাদেশিদের নিয়মিতকরণের কার্যক্রম গ্রিক সরকার ঘোষিত একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে শুরু হবে। এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আবেদনের জন্য আগ্রহী সব বাংলাদেশি নাগরিককে দূতাবাসে নাম নিবন্ধন করতে হবে এবং নিজ নিজ পাসপোর্টের অনুলিপি দূতাবাস থেকে সত্যায়িত করতে হবে।
তাই আগামী সেপ্টেম্বর মাসে নিয়মিত হতে ইচ্ছুক সবাইকে দুই বছরের বেশি মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট, নিজ নামে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর, সক্রিয় ইমেইল আইডি, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ এর আগে গ্রিসে অবস্থানের প্রমাণকসহ দূতাবাসে তাদের নাম নিবন্ধন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিয়মিত হওয়ার জন্য ২ বছরের বেশি মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ এর পূর্বে গ্রিসে আসার প্রমাণ ও সম্ভাব্য চাকরিদাতার গ্রিক সরকারি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রদত্ত চাকরির নিশ্চয়তাপত্র ছাড়াও অনলাইন আবেদনের পূর্বে নির্ধারিত ফি (প্রসেসিং ফি ৭৫ ইউরো ও রেসিডেন্স কার্ড ফি ১৬ ইউরো), দূতাবাস থেকে পাসপোর্টের সত্যায়িত কপি সংগ্রহ এবং দূতাবাসে বাধ্যতামূলক নাম নিবন্ধন করতে হবে।
৯ ফেব্রয়ারী (চুক্তি স্বাক্ষরের দিন) বা এর আগে থেকে গ্রিসে বসবাস করছিলেন তার প্রমাণক হিসেবে, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ এর আগে গ্রিসে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ইস্যুকৃত পাসপোর্ট গ্রিসে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাসপোর্টের আবেদনের রিসিট কপি, গ্রিসে দূতাবাস হতে ইস্যুকৃত বিভিন্ন সার্টিফিকেট বা অন্যান্য রেকর্ড, গ্রিসে বাংলাদেশ দূতাবাস হতে ইস্যুকৃত জন্ম নিবন্ধন সনদ, অবস্থানের অন্যান্য রেকর্ডপত্র, যেন (আফিমি/আমকা/ভ্যাক্সিনেশন কার্ড/পুলিশ রিপোর্ট/নিজ নামে ক্রয়কৃত মোবাইল সিম কার্ডের তথ্য/নিজ নামের ব্যাংক অ্যাকাউন্ডের তথ্য/হাসপাতালের চিকিৎসাপত্র/কোর্টের আদেশপত্র/ দেশে টাকা পাঠানোর প্রমাণপত্র/আন্তর্জাতিক সুরক্ষা সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র) ইত্যাদির যেকোনো একটি দাখিল করা যাবে।
সেই সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কোনো ধরনের দালাল বা প্রতারক চক্রের বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা ও প্ররোচনায় পড়ে প্রতারিত না হওয়ার জন্য সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
সূত্র: জাগো নিউজ