শিরোনাম
স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সারওয়ার মাহমুদকে আফ্রিকা মহাদেশের ক্ষুদ্রতম দেশ ইকুয়েটোরিয়াল গিনিতে যৌথভাবে একই দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের আরেকটি ছোট দেশ এন্ডোরার রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও পেয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি ইকুয়েটোরিয়াল গিনিতে পৌঁছেছেন সারওয়ার মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দেশটির প্রেসিডেন্টের কাছে নিজের পরিচয়পত্র পেশ করবেন তিনি।
ফ্রান্স-স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের অভিবাসীসহ ইকুয়েটোরিয়াল গিনিতে প্রায় ২০০ প্রবাসী বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি শাসিত দেশটির জনগণের মাথাপিছু আয় ১৭ হাজার মার্কিন ডলার, যা আফ্রিকা মহাদেশে সর্বোচ্চ। উন্নত এ দেশটির বিভিন্ন খাতে দক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশিদের চাকরির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রদূত সর্বপ্রথম ইকুয়েটোরিয়াল গিনি সফর করায় দেশটির রাজধানী মালাবোতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
সোমবার রাতে মালাবোর স্থানীয় একটি হোটেলে রাষ্ট্রদূত সারওয়ার মাহমুদ ইকুয়েটোরিয়াল গিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
সভায় প্রবাসীরা রাষ্ট্রদূতকে জানান, পশ্চিম আফ্রিকার এ দেশটিতে বাংলাদেশিরা বিভিন্ন কোম্পানিতে ফাইন্যান্স ম্যনেজার, আইটি বিশেষজ্ঞ, শিপিং এজেন্টসহ অন্যান্য পেশায় অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে ভালো বেতনে কাজ করছে।
প্রবাসীদের কর্মদক্ষতা, নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধ দেখে ইকুয়েটোরিয়াল গিনির কোম্পানিগুলো আরও বেশিসংখ্যক বাংলাদেশি দক্ষ কর্মী নিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
অপেক্ষাকৃত ভাল বেতন, চাকরির মর্যাদা ও সামাজিক নিরাপত্তা বিবেচনায় বর্তমানে কর্মরত প্রবাসীদের অধিকাংশই প্রতিবেশী দেশ ক্যামেরন, গ্যাবন, বেনিন, বুর্কিনা ফাসো এমনকি সুদূর স্পেন ও ফ্রান্স থেকেও এখানে পাড়ি জমিয়েছেন।
বাংলাদেশের বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও গত ছয় মাসে ১৫ থেকে ২০ জন বাংলাদেশি দেশটির বিভিন্ন কোম্পানিতে উচ্চ বেতনের চাকরিতে যোগ দিয়েছে বলে রাষ্ট্রদূতকে জানান প্রবাসীরা।
রাষ্ট্রদূত সারোয়ার মাহমুদ স্পেনের মাদ্রিদের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ইকুয়েটোরিয়াল গিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনলাইনে কনস্যুলারসহ যেকোনো সেবা অগ্রাধিকারভিত্তিতে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
এছাড়া ইকুয়েটোরিয়াল গিনিতে চাকরিপ্রত্যাশী প্রত্যেক বাংলাদেশিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য রাষ্ট্রদূত বংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করার আশ্বাস দেন।
ইকুয়েটোরিয়াল গিনি ১৯০ বছরের স্প্যানিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে ১৯৬৮ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে। অভিবাসীদের জন্য নতুন সম্ভাবনাময় এ দেশটির আয়তন ২৮ হাজার বর্গকিলোমিটার। এখানে লোকসংখ্যা মাত্র ১৪ লাখ ৭০ হাজারের কাছাকাছি।
সূত্র: জাগো নিউজ