শিরোনাম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম সুদানে অবস্থানরত সব বাংলাদেশিকে নাম নিবন্ধনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী ২ অথবা ৩ মে সেখানকার বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনা শুরু হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সুদানে প্রায় ১৫০০ বাংলাদেশি আছে বলে আমরা ধারণা করছি। এ পর্যন্ত (সুদানে বাংলাদেশি দূতাবাসে) ৭০০ বাংলাদেশি নিবন্ধিত হয়েছেন। দেশে ফিরিয়ে আনতে আমি অবশিষ্ট বাংলাদেশিদের নিবন্ধিত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
সুদান থেকে বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসন পরিকল্পনা নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শাহরিয়ার আলম। পরে তিনি প্রেস ব্রিফিং করেন।
ব্রিফিংয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘কিছু বাংলাদেশি, যারা এখন সুদানে বসবাস করছেন, তারা হয়তো সেই যুদ্ধবিধ্বস্ত আফ্রিকান দেশে ফিরে যাওয়া বা দ্বিতীয় কোনো দেশে যাওয়ার কথা ভাবছেন। কিন্তু এটা তাদের জন্য সহজ হবে না।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু (বাংলাদেশ) সরকার সহায়তা দিচ্ছে, তাই তাদের নিজেদের নিরাপত্তা ও পরিবারের স্বার্থে সুদান ছেড়ে যাওয়ার জন্য নাম নিবন্ধন করা উচিত। বাংলাদেশি নাগরিকদের ২ বা ৩ মে বাসে করে খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে ১২ ঘণ্টার সমুদ্রযাত্রার মাধ্যমে সৌদি আরবের মালিকানাধীন জাহাজের মাধ্যমে লোহিত সাগর পাড়ি দিয়ে জেদ্দায় নিয়ে যাওয়া হবে।’
খার্তুমে বাংলাদেশ দূতাবাস এরইমধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকদের খার্তুম ও পার্শ্ববর্তী শহরগুলো থেকে পোর্ট সুদানে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৯টি বাসের ব্যবস্থা করেছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, খার্তুম থেকে ৭০০ বাংলাদেশিকে একসঙ্গে পোর্ট সুদানে নিয়ে আসতে আমরা আশাবাদী। আশা করছি, বাংলাদেশিরা পোর্ট সুদানে পৌঁছানোর পরদিন জেদ্দায় পৌঁছাতে পারবেন।’
শাহরিয়ার আরও বলেন, পাসপোর্টধারী বাংলাদেশি নাগরিকদের অবিলম্বে জাহাজে আনা হবে। যাদের পাসপোর্ট নেই তাদের জেদ্দায় পৌঁছানোর জন্য পরবর্তী সৌদি জাহাজ পেতে দ্রুতই ভ্রমণের কাগজপত্র দেওয়া হবে। সুদান থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসনের সময় প্রত্যেক বাংলাদেশি নাগরিককে খাবার ও কিছু টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেদ্দা থেকে বাংলাদেশিদের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কয়েকটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে আনা হবে। সৌদি আরব সরকার আশ্বস্ত করেছে যে, তারা জেদ্দায় বাংলাদেশি নাগরিকদের আশ্রয়ের জন্য হোটেলের ব্যবস্থা করবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এ পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সহায়তায় সুদান থেকে ৩৫ বাংলাদেশিকে সরিয়ে আনা হয়েছে। নিবন্ধিত সর্বশেষ বাংলাদেশিকে সরিয়ে না আনা পর্যন্ত সুদানে বাংলাদেশ মিশনের কর্মীরা সে দেশ ত্যাগ করবে না।
বাংলাদেশ জেদ্দা মিশনের একটি দল উচ্ছেদ অভিযানে সহায়তা দিতে এরইমধ্যে ইন্দোনেশিয়ার বিমানে সুদানে পৌঁছেছে। প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশি নাগরিকদের উদ্ধারে সহায়তার জন্য সৌদি আরব ও ইন্দোনেশীয় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।